Type Here to Get Search Results !

রোহিঙ্গাদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন ডলার দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র

রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য ৭৩ মিলিয়ন বা সাত দশমিক তিন কোটি মার্কিন ডলারের নতুন সহায়তা দিচ্ছে যুক্তরাষ্ট্র। প্রতি ডলার ১২১ টাকা ৪৫ পয়সা ধরে বাংলাদেশি মুদ্রায় এর পরিমাণ আটশ ৮৬ কোটি ৫৮ লাখ টাকা। জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচির (ডব্লিউএফপি) মাধ্যমে ওই অর্থ সহায়তা দেওয়া হবে বলে জানিয়েছে ডোনাল্ড ট্রাম্প প্রশাসন। রোহিঙ্গাদের খাদ্য সহায়তা কমিয়ে দেওয়ার পর সৃষ্ট উদ্বেগের মধ্যে যুক্তরাষ্ট্রের সহায়তার এ ঘোষণা এলো। যুক্তরাষ্ট্রের পররাষ্ট্র দপ্তরের মুখপাত্র টমি ব্রুস সামাজিক যোগাযোগমাধ্যম এক্সে এক পোস্টে বলেন, এটি খুবই গুরুত্বপূর্ণ, আমাদের আন্তর্জাতিক উন্নয়ন সহযোগীরা রোহিঙ্গাদের জীবন রক্ষাকারী ব্যয়ের সঙ্গে জড়িত রয়েছেন। ডব্লিউএফপির মাধ্যমে খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়া হবে। দশ লাখেরও বেশি মানুষের জন্য অত্যন্ত প্রয়োজনীয় খাদ্য ও পুষ্টি সহায়তা দেওয়া হবে। আমাদের আন্তর্জাতিক অংশীদারদের এ ধরনের জীবন রক্ষাকারী সহায়তার বোঝা ভাগ করা অত্যন্ত গুরুত্বপূর্ণ কাজ। এই সহায়তা রোহিঙ্গা শরণার্থী এবং তাদের আশ্রয়কেন্দ্রে থাকা মানুষের জন্য জরুরি খাদ্য, পানীয় জল, স্বাস্থ্যসেবা, শিক্ষা ও নিরাপত্তা নিশ্চিত করার কাজে ব্যবহৃত হবে। প্রতিবেশী মিয়ানমারের সামরিক অভিযানের মুখে পালিয়ে আসা ১০ লাখেরও বেশি রোহিঙ্গাকে কক্সবাজার জেলার শিবিরে আশ্রয় দিচ্ছে বাংলাদেশ। গত বছর মিয়ানমার থেকে প্রায় ৭০ হাজার রোহিঙ্গা পালিয়ে এসেছিল। শরণার্থী শিবিরগুলোর তত্ত্বাবধানকারী বাংলাদেশের শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনারের কার্যালয় জানিয়েছে, খাদ্য রেশন শরণার্থীদের মধ্যে খাদ্য নিরাপত্তা এবং পুষ্টি বজায় রাখতে সহায়তা করবে। এক বিবৃতিতে কার্যালয় বলেছে, ‘আমরা আন্তর্জাতিক সম্প্রদায়কে প্রয়োজনীয় তহবিল সরবরাহের জন্য এগিয়ে আসার আহ্বান জানাচ্ছি যাতে এই জীবন রক্ষাকারী কর্মসূচিগুলো দীর্ঘমেয়াদে টিকিয়ে রাখা যায়।’ তবে কর্মকর্তাদের বরাত দিয়ে বার্তা সংস্থা রয়টার্স বৃহস্পতিবার এক প্রতিবেদনে জানিয়েছে, জাতিসংঘের বিশ্ব খাদ্য কর্মসূচি (ডব্লিউএফপি) বাংলাদেশে রোহিঙ্গা শরণার্থীদের জন্য খাদ্য সহায়তা বজায় রাখতে সক্ষম হয়েছে। তবে তহবিলের ঘাটতির কারণে রেশন কিছুটা কমানো হয়েছে। সংশোধিত ব্যবস্থার অধীনে, দক্ষিণ-পূর্ব সীমান্তবর্তী জেলা কক্সবাজারে অবস্থিত বিশ্বের বৃহত্তম শরণার্থী বসতিতে প্রত্যেক শরণার্থী প্রতি মাসে ১২ ডলার পাবেন। আগে তাদের বরাদ্দ ছিল ১২ দশমিক ৫০ ডলার। শরণার্থী ত্রাণ ও প্রত্যাবাসন কমিশনার (আরআরআরসি) মোহাম্মদ মিজানুর রহমান জানান, কক্সবাজারে অবস্থানরত রোহিঙ্গাদের জন্য মাসিক ১২ ডলার ও ভাসানচরে অবস্থানরতদের জন্য ১৩ ডলার বরাদ্দ দেওয়া হচ্ছে। চলতি মাসের শুরুতে ডব্লিউএফপি সতর্ক করে দিয়ে জানিয়েছিল, জরুরি আর্থিক সহায়তার ঘাটতির কারণে এপ্রিল মাসে খাদ্য রেশন অর্ধেক করে জনপ্রতি মাত্র ছয় ডলার করতে তারা বাধ্য হতে পারে। ২০২৩ সালেও একই রকম হ্রাস করা হয়েছিল। ওই সময় খাদ্য রেশন জনপ্রতি আট ডলারে নামিয়ে আনা হয়েছিল। অপুষ্টির তীব্র বৃদ্ধি ঘটায় পরে তা আবার বাড়িয়ে ১২ দশমিক ৫০ ডলারে ফিরিয়ে আনা হয়। ডব্লিউএফপির একজন মুখপাত্র জানিয়েছেন, তারা দাতাদের কাছ থেকে সময়োপযোগী অনুদানের মাধ্যমে তহবিলের ঘাটতি পূরণ করেছে। তবে তিনি এর বিশদ জানাননি। আমারবাঙলা/এমআরইউ

from Amarbangla sodesh Feed https://ift.tt/uz9c7m1

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies