Type Here to Get Search Results !

নূন্যতম সংস্কার করে দ্রুত নির্বাচনের দাবী করেন আবু লায়েস মুন্না

মুক্তিজোটের সংগঠন প্রধান আবু লায়েস মুন্না সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নে যতটুকু সংস্কার সেটুকু করে নির্বাচিত সরকারের কাছে ক্ষমতা হস্তান্তরের কথা বলেন। শুক্রবার (২১ মার্চ) মতিঝিলের মেট্রো রেস্টুরেন্টে বাংলাদেশ শ্রমিক মুক্তিজোট কর্তৃক আয়োজিত ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে তিনি বলেন, এই সরকারের সাত মাস চলে গেছে কিন্তু আইন শৃঙ্খলা থেকে শুরু করে রাষ্ট্রের কোন ক্ষেত্রে তেমন কোন উলেখযোগ্য সংস্কার নেই, আগের মতই সার্চ কমিটির নাটক করে নির্বাচন কমিশন থেকে শুরু করে বিশ্ববিদ্যালয় তথা শিক্ষা প্রতিষ্ঠান, পুলিশসহ দেশের উর্ধ্বতন সমস্ত দায়িত্বে আইনের সংস্কার বা আইন অনুযায়ী না করে ব্যক্তি পছন্দ অপছন্দে করছেন। এদিকে সংবিধান থেকে বিভিন্ন প্রতিষ্ঠান সংস্কারের দায়িত্ব যাদের দিয়েছেন তদের অনেকেরই দৈত্ব নাগরিকতা আছে। তারা কতটুকু দেশ ও দেশের মানুষের প্রশ্নে দায়িত্ব নিয়ে কাজ করবেন তা নিয়েও প্রশ্ন তোলেন। তিনি আরো বলেন, মুক্তিজোট ২০১৭ সাল থেকে দাবী করছে যেহেতু নির্বাচন করে নির্বাচন কমিশন তাই ডিসি নয় নির্বাচন কর্তারাই জেলা বা উপজেলার রিটার্নিং কর্মকর্তা হবে। কিন্তু এখন দেখছি আগের মতই ডিসি এসপিদের বলা হচ্ছে আপনারা নির্বাচনে যথাযথভাবে দায়িত্ব পালন করবেন। তার মানে কিসের সংস্কার হচ্ছে দেশে? নাকি সবই নাটক! উক্ত অনুষ্ঠানে মুক্তিজোটের সাধারণ সম্পাদক মোঃ শাহজামাল আমিরুল বলেন এবারের ঈদে যেন প্রতিটি শ্রমিক বেতন ও বোনাস নিয়ে বাড়িতে যায়। সেটা সরকারকে নিশ্চিত করতে হবে। এছাড়াও তিনি সংস্কার প্রসঙ্গে বলেন সংবিধান সংস্কার কমিটির প্রধান আলী রিয়াজ একজন সামন্ততান্ত্রীক মানসিকতার মানুষ। তিনি সত্যকে সত্য না বলে কথাগুলো কে বলছেন সেটাকে মুখ্য করেন। ২০১৭ সালের ২৪শে আগস্ট মুক্তিজোট সুষ্ঠ নির্বাচনের প্রশ্নে কমিশন সংলাপে জাতীয় পরিষদ গঠন এবং স্বরাষ্ট্র ও জনপ্রশাসন মন্ত্রণালয় নির্বাচন কালীনসময় কমিশনের অধীনে থাকার প্রস্তাব দেয় যা কমিশন যৌক্তিক মনে করে সেটা নিয়ে তিনি বিদেশে থেকে ২৮শে আগস্ট প্রথম আলোতে এক প্রতিক্রিয়াতে বলেন ছোট দলের প্রস্তাব নিয়ে নির্বাচন কমিশনের এত মাতামাতি কেন। সত্য না ছোট বড় নিয়ে থাকেন তিনি। এখন যে ৩৪টি দলের সাথে সংস্কার নিয়ে কথা বলছেন তার মধ্যে কয়টি দলের নিবন্ধন আছে বা কয়টি বড় দল, এ প্রশ্ন করে আরো বলেন, ২০১৮ সালের নির্বাচনের পূর্বে সাবেক নির্বাচন কমিশনার ও বর্তমান সরকারের মাননীয় উপদেষ্টা সাখাওয়াত হোসেন বার বার বলেছিলেন যে সুষ্ঠ নির্বাচনের জন্য নির্বাচন কমিশনের হাতে ট্রাম কার্ড আছে। কি সেই ট্রাম কার্ড তা প্রকাশ করার দাবীও করেন তিনি। তিনি আরও বলেন আগামী নির্বাচনে ৩০০ আসনে নির্বাচন করবে সে লক্ষ্যে কাজ করছে মুক্তিজোট। শ্রমিক মুক্তিজোটের আহ্বায়ক অনুষ্ঠানের সমাপনি বক্তব্যে সকল শ্রমিকদের কাছে মুক্তিজোটের আহ্বান পৌঁছে দেওয়ার প্রত্যয় ব্যক্ত করে বলেন, দেশের সকল শ্রমিকদের সুখে-দুঃখে আমরা পাশে থাকব। শ্রমিক মুক্তিজোটের সদস্য সচিব মোঃ রাশেদ-উদ-জামান এর সঞ্চালনায় ইফতার ও দোয়া মাহফিল অনুষ্ঠানে বিশেষ অতিথি হিসেবে মুক্তিজোটের সহ-সভাপতি- মোঃ আমান উল্লাহ আমান, মোঃ রাসেল কবীর, শ্রমিক মুক্তিজোটের উপদেষ্টা- মোঃ ইমন বারিক, যুব মুক্তিজোটের আহ্বায়ক- মোঃ আব্দুল আওয়াল এবং মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় ও ঢাকা মহানগরের নেতৃবৃন্দসহ শ্রমিক মুক্তিজোটের কেন্দ্রীয় কমিটি ও ঢাকা মহানগর শ্রমিক মুক্তিজোটের উত্তর ও দক্ষিণের নেতৃবৃন্দ উপস্থিত ছিলেন। আমারবাঙলা/ইউকে

from Amarbangla sodesh Feed https://ift.tt/v7UgKD1

Post a Comment

0 Comments
* Please Don't Spam Here. All the Comments are Reviewed by Admin.

Top Post Ad

Below Post Ad

Hollywood Movies